কুমার সাঙ্গাকারা সম্প্রতি কলম্বো টেস্ট ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে ইতি টানেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের। তাঁর জন্ম ১৯৭৭ সালের ২৭ অক্টোবর। উইজডেন তাঁকে ২০১১ ও ২০১৫ সালের লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড তকমা দেয়। ১৩৪ টেস্টে ৩৮টি সেঞ্চুরিসহ সাঙ্গাকারার সংগ্রহ ১২ হাজার ৪০০ রান এবং ৪০৪ ওয়ান ডেতে ২৫টি সেঞ্চুরিসহ সংগ্রহ ১৪ হাজার ২৩৪ রান।
ক্রিকেট খেলা আমার জন্য সব সময়ের জন্য আশ্চর্যের এক খেলা। ছোটবেলা থেকেই আমি ক্রিকেটের মধ্যে অদ্ভুত জাদুর বিস্ময় দেখে আসছি। আপনি যদি খেলা উপভোগ না করেন, তাহলে খেলার মধ্যে আনন্দ খুঁজেই পাবেন না। আনন্দ না পেলে নিজের সবকিছু উজাড় করে দিয়ে ভালো খেলাও প্রদর্শন করা যাবে না।
যদি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পেছনে তাকাই তাহলে আমার অনেক গল্প মনে ভেসে ওঠে। ক্রিকেটে আসলে কোনো কিছু একাকী করা যায় না। পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে আমাদের নানা কিছু শিখে শিখে সামনে এগোতে হয়। নিজেকে একটু একটু করে গড়ে তুলে সামনে যেতে হয়। আমার জীবনে ক্রিকেটের মাধ্যমে অনেক মানুষের স্পর্শ পেয়েছি। আমার বন্ধু, পরিবার, কোচ আর নিজের দল ও প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের নিয়েই আমি সামনে এগিয়ে এসেছি। আমি অনেক ভাগ্যবান ছিলাম বলেই এত এত সব মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। আর সেই আশীর্বাদের কারণেই আমি খুব বিনয়ের সঙ্গে ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করে গেছি।
শুধু ক্রিকেটেই নয়, জীবনের সব ক্ষেত্রেই শক্তিশালী মার্জিত ব্যক্তিত্ব মানুষকে তার অন্তরের আসল ছবি তুলে ধরতে সহায়তা করে। ব্যক্তিত্বই আমাদের মধ্যে বিশ্বাস আর আত্মশক্তির বিকাশ ঘটায়। জীবনে এগিয়ে চলার জন্য সমালোচনা গ্রহণের শক্তি থাকতে হবে আমাদের। নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাস রেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা শেখা উচিত আমাদের। নিজের ভেতরের সব শক্তিকে ভালো কাজ আর আনন্দময় কোনো কাজে আমাদের সব সময় ব্যয় করা উচিত।
আমি গত দশকের শুরু থেকেই ফাউন্ডেশন অব গডনেস নামের স্পোর্টস একাডেমির সঙ্গে যুক্ত। কুশিল গুনাসেকারা ও মুত্তিয়া মুরালিধরন এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিবছর আমরা ৫০ হাজারের বেশি জনের সঙ্গে এই একাডেমির মাধ্যমে যুক্ত হতে পারছি। আমরা খেলার জন্য চিকিৎসা, ওষুধ, ব্যায়ামের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি নানা ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। কারিগরি শিক্ষা, ইংরেজি ভাষা শিক্ষাসহ বিভিন্ন জীবনসংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা শহর আর গ্রামের দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। গৃহযুদ্ধ শেষে পুরো শ্রীলঙ্কাজুড়ে আমরা এমন সব কাজ করে যাচ্ছি।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে তাদের ম্যান অব দ্য ম্যাচ এবং ম্যান অব দ্য সিরিজের অর্থ তুলে দেয়। নানান সময়ে আমরা নানা ধরনে দাতব্য কাজে অর্থ তুলতে সহায়তা করি।
ক্রিকেট জীবনে আমি অধিনায়কত্বের সময়টা দারুণ উপভোগ করেছি। ২০১০ সালে আমরা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সিরিজ জয় করি। ২০০৯ সালে আমরা পাকিস্তানকে টেস্ট ক্রিকেটে দেশের মাটিতে পরাজিত করি। তখন আমাদের দলের সঙ্গে ছিল ট্রেভর বেইলিস আর সহকারী কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। তরুণ আর অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মিশেলে আমরা ছিলাম বেশ ভয়ংকর একটি ক্রিকেট দল। পরবর্তী সময়ে চন্দিকা হাথুরুসিংহেকে আমরা শ্রীলঙ্কা দলের জন্য পরিপূর্ণ কাজে লাগাতে পারিনি। তার হাতেই তো অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিত দারুণভাবে শাণিত হয়ে ওঠে। আর এরপরে চন্দিকা তো পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে বদলে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া দেখা যায়। ভয়হীন একদল ক্রিকেটার মাঠে খেলছে—এটা চন্দিকারই জাদু। সে ক্রিকেটারদের অকুতোভয় হতে শেখায়। আমি চন্দিকা আর তার কাজ নিয়ে ভীষণ গর্ব অনুভব করি। শুধু আমাদের জন্য নয় বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের জন্য সে দারুণ কাজ করেছে।
যদি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পেছনে তাকাই তাহলে আমার অনেক গল্প মনে ভেসে ওঠে। ক্রিকেটে আসলে কোনো কিছু একাকী করা যায় না। পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে আমাদের নানা কিছু শিখে শিখে সামনে এগোতে হয়। নিজেকে একটু একটু করে গড়ে তুলে সামনে যেতে হয়। আমার জীবনে ক্রিকেটের মাধ্যমে অনেক মানুষের স্পর্শ পেয়েছি। আমার বন্ধু, পরিবার, কোচ আর নিজের দল ও প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের নিয়েই আমি সামনে এগিয়ে এসেছি। আমি অনেক ভাগ্যবান ছিলাম বলেই এত এত সব মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি। আর সেই আশীর্বাদের কারণেই আমি খুব বিনয়ের সঙ্গে ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করে গেছি।
শুধু ক্রিকেটেই নয়, জীবনের সব ক্ষেত্রেই শক্তিশালী মার্জিত ব্যক্তিত্ব মানুষকে তার অন্তরের আসল ছবি তুলে ধরতে সহায়তা করে। ব্যক্তিত্বই আমাদের মধ্যে বিশ্বাস আর আত্মশক্তির বিকাশ ঘটায়। জীবনে এগিয়ে চলার জন্য সমালোচনা গ্রহণের শক্তি থাকতে হবে আমাদের। নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাস রেখে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা শেখা উচিত আমাদের। নিজের ভেতরের সব শক্তিকে ভালো কাজ আর আনন্দময় কোনো কাজে আমাদের সব সময় ব্যয় করা উচিত।
আমি গত দশকের শুরু থেকেই ফাউন্ডেশন অব গডনেস নামের স্পোর্টস একাডেমির সঙ্গে যুক্ত। কুশিল গুনাসেকারা ও মুত্তিয়া মুরালিধরন এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিবছর আমরা ৫০ হাজারের বেশি জনের সঙ্গে এই একাডেমির মাধ্যমে যুক্ত হতে পারছি। আমরা খেলার জন্য চিকিৎসা, ওষুধ, ব্যায়ামের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি নানা ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। কারিগরি শিক্ষা, ইংরেজি ভাষা শিক্ষাসহ বিভিন্ন জীবনসংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা শহর আর গ্রামের দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। গৃহযুদ্ধ শেষে পুরো শ্রীলঙ্কাজুড়ে আমরা এমন সব কাজ করে যাচ্ছি।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানে তাদের ম্যান অব দ্য ম্যাচ এবং ম্যান অব দ্য সিরিজের অর্থ তুলে দেয়। নানান সময়ে আমরা নানা ধরনে দাতব্য কাজে অর্থ তুলতে সহায়তা করি।
ক্রিকেট জীবনে আমি অধিনায়কত্বের সময়টা দারুণ উপভোগ করেছি। ২০১০ সালে আমরা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সিরিজ জয় করি। ২০০৯ সালে আমরা পাকিস্তানকে টেস্ট ক্রিকেটে দেশের মাটিতে পরাজিত করি। তখন আমাদের দলের সঙ্গে ছিল ট্রেভর বেইলিস আর সহকারী কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। তরুণ আর অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মিশেলে আমরা ছিলাম বেশ ভয়ংকর একটি ক্রিকেট দল। পরবর্তী সময়ে চন্দিকা হাথুরুসিংহেকে আমরা শ্রীলঙ্কা দলের জন্য পরিপূর্ণ কাজে লাগাতে পারিনি। তার হাতেই তো অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিত দারুণভাবে শাণিত হয়ে ওঠে। আর এরপরে চন্দিকা তো পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে বদলে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া দেখা যায়। ভয়হীন একদল ক্রিকেটার মাঠে খেলছে—এটা চন্দিকারই জাদু। সে ক্রিকেটারদের অকুতোভয় হতে শেখায়। আমি চন্দিকা আর তার কাজ নিয়ে ভীষণ গর্ব অনুভব করি। শুধু আমাদের জন্য নয় বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের জন্য সে দারুণ কাজ করেছে।
ক্রিকেটার হিসেবে নিজের দেশকে বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপন করতে পারা ভীষণ গর্বের। খেলা বা যেকোনো কাজ করতে হয় মন দিয়ে। মন দিয়ে কাজ করলে কাজে আটকানোর কোনো কারণই থাকে না। কেউ যদি সামনে তাকায় আর এগিয়ে চলা শুরু করে একদিন সে লক্ষ্যে পৌঁছাবেই।
সূত্র: ইন্টারনেট। শ্রীলঙ্কার ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ডে ২০ আগস্ট প্রকাশিত সাক্ষাৎকার অবলম্বনে ভাষান্তর করেছেনজাহিদ হোসাইন খান
সূত্র: ইন্টারনেট। শ্রীলঙ্কার ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ডে ২০ আগস্ট প্রকাশিত সাক্ষাৎকার অবলম্বনে ভাষান্তর করেছেনজাহিদ হোসাইন খান
No comments:
Post a Comment