বিসিবি'র সম্ভবত শিক্ষাগ্রহন করার বিষয়ে এলার্জী আছে। নতুবা কি করে, একজন প্লেয়ার চলমান বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করার পাশাপশি পত্রিকাতে কলাম লিখবার অনুমতি পায়। পূর্বেও দেখা গেছে , বিভিন্ন সময়ে একই টিমের বিভিন্ন প্লেয়ার বিভিন্ন মতামত প্রদান করে বিভেদের জন্ম দিয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণ করবার জন্য বোর্ড গুলো প্লেয়ারদের বাক স্বাধীনতার উপর আরোপ করেছে নিয়ন্ত্রণ। ফলাফল ও পেয়েছে, কোন লাভ না হলেও নিদেন পক্ষে তাতে কোন ক্ষতি হয়নি। ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও তাদের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক পদক্ষেপের পাশাপাশি প্লেয়ারদের ইচ্ছা খুশীমতকথা বলা বন্ধ করেছে বহুবার, পাশাপাশি তাদের কথা মডারেট করবার জন্য রেখেছে একজন মুখপাত্র। কিন্তু আমরা পারি নাই।
নিজের দলের পরাজয় বিশ্লেষন ও পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ উপেক্ষা করে, আমাদের ষোল কোটি বাঙ্গালীর দলপতি কলাম লিখতে বসেছে প্রত্যুত্তর দেয়ার আশায়। জানি না ক্রিকেট বোর্ড এখন পর্যন্ত তাকে কোন সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছে কিনা, না পাঠালে বিলম্ব হয়ে যাচ্ছে। নতুবা সাকিব হয়ত সারা দিনরাত ধরে কলাম লেখার উপরই থাকবে আর মাঠে যেয়ে বিশ্রাম নেবে, যা কারোর জন্যই সুখকর কিছু নয়।
তিনি তার কলামে অনেক কিছুই লিখেছে, দর্শক দের ক্রিকেট জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। যা দিয়ে উনি হয়ত নিজেকেই ছোট করেছে। তিনি তো এই সকল দর্শক ও অনুরাগীদেরই নেতা এটা ভুলে গেলে হবে কি করে।কোন একটি ম্যাচে ভালো করলেই তাদের জন্য তৈরী থাকে প্লট, ফ্লাট, গাড়ী, টাকা। সেগুলো গ্রহন করতে তাদের কোন প্রকার পিছুটান থাকে না। প্রাকটিস বাদ দিয়ে ধর্ণা ধরে থাকে কখন সে গুলো বাস্তবায়িত হওয়ার পর গোগ্রাসে গিলবে। তো বর্তমানের গুলা দিলে সেগুলা গ্রহন করতে এত কষ্ট কেন। ধৈর্য ও সহ্য না থাকলে আপনি কিসের নেতা।
সাকিব কে দিয়ে প্রথম আলোর কলাম লেখানোর সিদ্বান্ত টি ভালো। কিন্তু বিশ্বকাপের মধ্যে সে পূর্ণ সময়ের জন্য বিসিবির কর্মী; তাকে দিয়ে কিভাবে খন্ডকালীন কলাম লেখানো হয় এটা আমার মত সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়।
ক্রিকেট বোর্ড কয়েকদিন আগে প্লেয়ারদের উন্নয়নের জন্য একজন মানসিক অবস্থা একজন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। আমার মনে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে প্লেয়ারদের পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশন দেখার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত; ডাক্তার বাবুকে মনে রাখতে হবে বাঙালী খুবই আবেগপ্রবন, কোন মতেই তারা আবেগ চেপে রাখতে পারে না।
যেমনটি ঘটেছে আমার বেলাতে। আবেগ সামলাতে না পেরে অফিসের কাজ বাদ দিয়ে এই কলাম লিখতে বসেছি।
Showing posts with label হালচাল. Show all posts
Showing posts with label হালচাল. Show all posts
Sunday, March 6, 2011
Friday, March 4, 2011
ইতিহাসের সাদৃশ্যতা বাংলাদেশ ক্রিকেটে
বাংলাদেশ আজকে ওয়েস্টইন্ডিজের কাছে খুব সুন্দর ভাবে পরাজিত হয়েছে। মনটা খুব খারাপ লাগছে সবারই মতন। আমার এই লেখাটা আজকের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষন করবার জন্য নয়, শুধুমাত্র কিছু পূর্বেকার ঘটে যাওয়া কলক্ষণের সাদৃশ্য তুলে ধরাটাই মূল লক্ষ্য যা অনেকদিন ধরেই মনে উঁকি দেওয়া স্বত্ত্বেও লেখা হচ্ছিল না।
সৌরভ কে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক বলা হয়, কিন্তু তার পরেও আন্তজার্তিক ক্রিকেট থেকে অবসরের আগে সে তার যোগ্য সম্মান কতটুকু পেয়েছে সেটা কারোর জানবার বাকী নেই। আর তার সেই দুঃসময়ের পিছনে যার হাত ছিল সে ছিল তারই সুবিধা ভোগী কোচ চ্যাপেল মহাশয়। ভারত যখন দলের জন্য কোচ নিয়ে চিন্তিত টম মুডি ও চ্যাপেলের ইন্টারভিউ সম্পন্ন, শুধু মাত্র অধিনায়কের মতামতের অপেক্ষায়। চ্যাপেল ভুল করেনি, জায়গাটা চিনতে। সৌরভকে অস্ট্রেলিয়া থেকে বারংবার ফোন আর মেইল করে অনুরোধ করেছিল মতামত টা যেন তার পক্ষে যায় তার জন্য। চ্যাপেলের সাথে তার বোঝাপড়াটা একটু বেশী ছিল কারণ অনেক সময়ই সে চ্যাপেলের কাছ থেকে অনেক টিপস পেয়েছিল। আর সেই সুবাধেই সে ভেবেছিল ভবিষ্যৎ জুটিটা ভালো জমবে; কিন্তু জমে নাই। কোচ হিসাবে নিয়োগ হবার পর, সৌরভের সামনে দাড়াতে একটু অস্বস্তি লাগতো বইকি। দেখা দিল অহং (ইগোর) সমস্যা চরম আকারে। চ্যাপেল শুধুই সময়ের অপেক্ষায়।
সময় আসতেও বিলম্ব হয়নি। শরদ পাওয়ার,অভিজ্ঞ ক্রিকেট সাংগঠনিক না হওয়া স্বত্বেও কংগ্রেস এর সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠনের মূল অভিস্বন্ধি ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হওয়া। কেন্দ্রীয় ভাবে সব প্রাদেশিক বোর্ড গুলো নোটিশ পেয়েছিল শরদ কে ভোট না দিলে সকল সাহায্য বন্ধ সহ কোন প্লেয়ারকে জাতীয় দলে নেওয়া হবে না। বেশী কিছু করা লাগেনি, তাতেই ডালমিয়া শেষ। আর বোর্ডের যে একটা ঐতিহাসিক পরিবর্তন হতে চলেছে সেটা বোঝানোর জন্যই ঐতিহাসিক সিদ্বান্ত নেওয়া হয় ডালমিয়ার প্রদেশ পশ্চিমব্ঙ্গের সৌরভ গাঙ্গুলীকে বাদ দিয়ে। সবাই ভেবেছিল হয়ত অধিনায়কত্ত্ব কেড়ে নেবে, কিন্তু না সরাসরি দল থেকে বাদ। অনেকেই খুশী একসাথে, শরদ, চ্যাপেল, রাহুল। আর শরদ এটার জন্য সহযোগীতা পেয়েছিল কিরণমোরে নামক এক নির্বাচকের,আন্তজার্তিক ক্রিকেটে যার মোট রান সৌরভের মোট ছক্কার থেকেও কম। রাহুল ও পরে প্রমান করেছিল- সে ভালো সহঅধিনায়ক হতে পারে কিন্তু অধিনায়ক নয়।হায়রে রাজনীতি আর হায়রে নির্বাচক।
সৌরভ আবার এসেছিল জাতীয় দলে, কারোর সুপারিশে নয় নিজের যোগ্যতায়। কেউ তাকে দয়া করেনি, সে দয়ার জন্যও বসে থাকে নি।
এত সময় অন্য দেশ নিয়ে হল। মনে হতে পারে ইতিহাস দিয়ে কি হবে; মানুষ সমাধান খোঁজে ইতিহাস দিয়ে। এবার আমাদের দেশের দিকে তাকাই। দল ঘোষনাটা হল বিতর্ক নিয়ে। একজন উম্মাদও বোঝে মাশরাফী কে খেলানোর ইচ্ছা থাকলে তাকে দলের অন্তভুক্তি করাটা কোন সমস্যা হত না। কিন্তু না, চ্যাপেলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে সিডন্স। ইগো একটু রয়েছে, কে বড়- ক্যাপ্টেন না কি কোচ। তারা কেউই বোঝে না, দুটার ভূমিকা দুরকম। এটাও পরিস্কার নয়, কি নিয়ে তাদের এত মত বিরোধ।
সিডন্স কোচ হিসাবে অসফল নয়, মানে এটাও নয় সে খুব বেশী সফল। বর আসরে খেলা আর ছোট আসরের খেলা এক রমকম কখনও নয়। কোচের নিজের বিশ্বকাপের খেলা দূরের কথা আন্তজার্তিক ক্রিকেট রেকর্ড বিশ্লেষন করার সময় হয়েছে এ ব্যাপারে সবাই আমার সাথে এক মত হবেন আশাকরি। সিডন্স যে সবাইকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে সেটা সম্ভব হয়েছে কোচ দের সহযোগীতা পাবার জন্য। একজন প্লেয়ারের গুনগত মান আরেকজন গুনী প্লেয়ারই ভালো বলতে পারেন। কোচ নির্বাচন প্লেয়ার নির্বাচনের চেয়েও যে একটা বড় বিষয় সেটা আমাদের ভাবার সময় এসেছে। তাই শুধু মাত্র প্লেয়ার নির্বাচনের দিকে অনুরাগীদের নজর দিলে হবে না, নজর দিতে হবে নির্বাচকদের নির্বাচনের দিকে, সেখানে কতটা ভালো সৎ, অভিজ্ঞ ও যোগ্য নির্বাচক আসলো।
বর প্রতিযোগিতা গুলা কখনও পরীক্ষার ল্যাবটরী হতে পারেনা। আমাদের এই ভ্রান্ত ধারনা থেকে বের হতে হবে। এক বালতি দুধ নষ্ট করবার জন্য যেমন এক ফোটা গোমূত্র যথেষ্ট, একটি পূর্নাঙ্গ দলের টিম স্পিরিট নষ্ঠ হবার জন্য বারংবার ব্যর্থ এক প্লেয়ার যথেষ্টর থেকেও অনেক বেশী। একজন অভিজ্ঞ প্লেয়ার কেন মানুষের দয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে এটা হয়ত সেই ভালো জানে। নিজের উপর আস্থা না থাকলেই এটা সম্ভব। নির্বাচকদের ভাবা উচিত, যার নিজের উপরই আস্থা নেই, গোটা দেশ তার উপর কিভাবে আস্থা রাখতে পারে। দই পাতলে যদি বার বার তা নাড়িয়ে পরীক্ষা করা হয় সেটা জমছে কিনা দেখবার জন্য। সেই দুধের জন্য দই হওয়াটা কখনই সম্ভব না। দুধ টাকে একটু সময় দেওয়া উচিত।
একজন পেশাদার প্লেয়ার হিসাবে মাশরাফীর উচিত আরো বেশীফেটনেসের প্রতি সচেষ্ট হওয়া। তার মনে প্রশ্ন আসা উচিত কেন সেই ি বার বার ইনজুরীতে পরেন, কিভাবে এটা কাটানো যায়।
আজ জতার মিছিল বের হয়েছে, আবেগ সামলাতে পারেনি সমর্থকেরা। পারবার কথা নয়, এটাই স্বাভাবিকতা।। এটাকে সাদারণ ঘটনা হিসাবে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই ভালো, কারণ আপনাদের ক্রকেটই খেলতে হবে। সমর্থকদের উচিত জয়ে খুব বেশী উল্লসিত না হওয়া; কারন তাদের উল্লাসই পরবর্তী পতন টেনে আনে।
পরিশেষে, সিডন্স এর শিকড় একটু হালকা করবার সময় হয়েছে। তাকে মনে করিয়ে দিতে হবে সে শিখাতে এসেছে, নীতি নির্ধারণ করতে নয়। সাংগঠনিক ব্যাক্তিদের প্রতি অনুরোধ খেলার মাঠে অন্তত কোন প্রকার রাজনীতিকে টানবেন না। কারণ, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা একদলীয় নয়, এটা জাতিগত। অন্তত একটা বিষয়ে গোটা জাতিকে আপনারা এক থাকতে দিন।
সৌরভ কে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক বলা হয়, কিন্তু তার পরেও আন্তজার্তিক ক্রিকেট থেকে অবসরের আগে সে তার যোগ্য সম্মান কতটুকু পেয়েছে সেটা কারোর জানবার বাকী নেই। আর তার সেই দুঃসময়ের পিছনে যার হাত ছিল সে ছিল তারই সুবিধা ভোগী কোচ চ্যাপেল মহাশয়। ভারত যখন দলের জন্য কোচ নিয়ে চিন্তিত টম মুডি ও চ্যাপেলের ইন্টারভিউ সম্পন্ন, শুধু মাত্র অধিনায়কের মতামতের অপেক্ষায়। চ্যাপেল ভুল করেনি, জায়গাটা চিনতে। সৌরভকে অস্ট্রেলিয়া থেকে বারংবার ফোন আর মেইল করে অনুরোধ করেছিল মতামত টা যেন তার পক্ষে যায় তার জন্য। চ্যাপেলের সাথে তার বোঝাপড়াটা একটু বেশী ছিল কারণ অনেক সময়ই সে চ্যাপেলের কাছ থেকে অনেক টিপস পেয়েছিল। আর সেই সুবাধেই সে ভেবেছিল ভবিষ্যৎ জুটিটা ভালো জমবে; কিন্তু জমে নাই। কোচ হিসাবে নিয়োগ হবার পর, সৌরভের সামনে দাড়াতে একটু অস্বস্তি লাগতো বইকি। দেখা দিল অহং (ইগোর) সমস্যা চরম আকারে। চ্যাপেল শুধুই সময়ের অপেক্ষায়।
সময় আসতেও বিলম্ব হয়নি। শরদ পাওয়ার,অভিজ্ঞ ক্রিকেট সাংগঠনিক না হওয়া স্বত্বেও কংগ্রেস এর সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠনের মূল অভিস্বন্ধি ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হওয়া। কেন্দ্রীয় ভাবে সব প্রাদেশিক বোর্ড গুলো নোটিশ পেয়েছিল শরদ কে ভোট না দিলে সকল সাহায্য বন্ধ সহ কোন প্লেয়ারকে জাতীয় দলে নেওয়া হবে না। বেশী কিছু করা লাগেনি, তাতেই ডালমিয়া শেষ। আর বোর্ডের যে একটা ঐতিহাসিক পরিবর্তন হতে চলেছে সেটা বোঝানোর জন্যই ঐতিহাসিক সিদ্বান্ত নেওয়া হয় ডালমিয়ার প্রদেশ পশ্চিমব্ঙ্গের সৌরভ গাঙ্গুলীকে বাদ দিয়ে। সবাই ভেবেছিল হয়ত অধিনায়কত্ত্ব কেড়ে নেবে, কিন্তু না সরাসরি দল থেকে বাদ। অনেকেই খুশী একসাথে, শরদ, চ্যাপেল, রাহুল। আর শরদ এটার জন্য সহযোগীতা পেয়েছিল কিরণমোরে নামক এক নির্বাচকের,আন্তজার্তিক ক্রিকেটে যার মোট রান সৌরভের মোট ছক্কার থেকেও কম। রাহুল ও পরে প্রমান করেছিল- সে ভালো সহঅধিনায়ক হতে পারে কিন্তু অধিনায়ক নয়।হায়রে রাজনীতি আর হায়রে নির্বাচক।
সৌরভ আবার এসেছিল জাতীয় দলে, কারোর সুপারিশে নয় নিজের যোগ্যতায়। কেউ তাকে দয়া করেনি, সে দয়ার জন্যও বসে থাকে নি।
এত সময় অন্য দেশ নিয়ে হল। মনে হতে পারে ইতিহাস দিয়ে কি হবে; মানুষ সমাধান খোঁজে ইতিহাস দিয়ে। এবার আমাদের দেশের দিকে তাকাই। দল ঘোষনাটা হল বিতর্ক নিয়ে। একজন উম্মাদও বোঝে মাশরাফী কে খেলানোর ইচ্ছা থাকলে তাকে দলের অন্তভুক্তি করাটা কোন সমস্যা হত না। কিন্তু না, চ্যাপেলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে সিডন্স। ইগো একটু রয়েছে, কে বড়- ক্যাপ্টেন না কি কোচ। তারা কেউই বোঝে না, দুটার ভূমিকা দুরকম। এটাও পরিস্কার নয়, কি নিয়ে তাদের এত মত বিরোধ।
সিডন্স কোচ হিসাবে অসফল নয়, মানে এটাও নয় সে খুব বেশী সফল। বর আসরে খেলা আর ছোট আসরের খেলা এক রমকম কখনও নয়। কোচের নিজের বিশ্বকাপের খেলা দূরের কথা আন্তজার্তিক ক্রিকেট রেকর্ড বিশ্লেষন করার সময় হয়েছে এ ব্যাপারে সবাই আমার সাথে এক মত হবেন আশাকরি। সিডন্স যে সবাইকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে সেটা সম্ভব হয়েছে কোচ দের সহযোগীতা পাবার জন্য। একজন প্লেয়ারের গুনগত মান আরেকজন গুনী প্লেয়ারই ভালো বলতে পারেন। কোচ নির্বাচন প্লেয়ার নির্বাচনের চেয়েও যে একটা বড় বিষয় সেটা আমাদের ভাবার সময় এসেছে। তাই শুধু মাত্র প্লেয়ার নির্বাচনের দিকে অনুরাগীদের নজর দিলে হবে না, নজর দিতে হবে নির্বাচকদের নির্বাচনের দিকে, সেখানে কতটা ভালো সৎ, অভিজ্ঞ ও যোগ্য নির্বাচক আসলো।
বর প্রতিযোগিতা গুলা কখনও পরীক্ষার ল্যাবটরী হতে পারেনা। আমাদের এই ভ্রান্ত ধারনা থেকে বের হতে হবে। এক বালতি দুধ নষ্ট করবার জন্য যেমন এক ফোটা গোমূত্র যথেষ্ট, একটি পূর্নাঙ্গ দলের টিম স্পিরিট নষ্ঠ হবার জন্য বারংবার ব্যর্থ এক প্লেয়ার যথেষ্টর থেকেও অনেক বেশী। একজন অভিজ্ঞ প্লেয়ার কেন মানুষের দয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে এটা হয়ত সেই ভালো জানে। নিজের উপর আস্থা না থাকলেই এটা সম্ভব। নির্বাচকদের ভাবা উচিত, যার নিজের উপরই আস্থা নেই, গোটা দেশ তার উপর কিভাবে আস্থা রাখতে পারে। দই পাতলে যদি বার বার তা নাড়িয়ে পরীক্ষা করা হয় সেটা জমছে কিনা দেখবার জন্য। সেই দুধের জন্য দই হওয়াটা কখনই সম্ভব না। দুধ টাকে একটু সময় দেওয়া উচিত।
একজন পেশাদার প্লেয়ার হিসাবে মাশরাফীর উচিত আরো বেশীফেটনেসের প্রতি সচেষ্ট হওয়া। তার মনে প্রশ্ন আসা উচিত কেন সেই ি বার বার ইনজুরীতে পরেন, কিভাবে এটা কাটানো যায়।
আজ জতার মিছিল বের হয়েছে, আবেগ সামলাতে পারেনি সমর্থকেরা। পারবার কথা নয়, এটাই স্বাভাবিকতা।। এটাকে সাদারণ ঘটনা হিসাবে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই ভালো, কারণ আপনাদের ক্রকেটই খেলতে হবে। সমর্থকদের উচিত জয়ে খুব বেশী উল্লসিত না হওয়া; কারন তাদের উল্লাসই পরবর্তী পতন টেনে আনে।
পরিশেষে, সিডন্স এর শিকড় একটু হালকা করবার সময় হয়েছে। তাকে মনে করিয়ে দিতে হবে সে শিখাতে এসেছে, নীতি নির্ধারণ করতে নয়। সাংগঠনিক ব্যাক্তিদের প্রতি অনুরোধ খেলার মাঠে অন্তত কোন প্রকার রাজনীতিকে টানবেন না। কারণ, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা একদলীয় নয়, এটা জাতিগত। অন্তত একটা বিষয়ে গোটা জাতিকে আপনারা এক থাকতে দিন।
Saturday, January 1, 2011
বর্ষন্ত ও বর্ষরম্ভ
১লা জানুয়ারীর গুরুত্ত্ব একটু অন্যরকম ছিল ছোটবেলাতে। সাধারণত এই দিনটিতে শুরু হত নতুন ক্লাসের প্রথম পড়াশোনা। তখন খুব মনে হত কবে আমরা ২০০০ সাল দেখব আর কবেই বা দেখব ২০১০ সাল এমনি দুেরে দুরের সাল গুলো। এখন আর সেরকম আশাটি খুব বেশী একটা করি না। ইংরেজী নতুন বর্ষ আমার কাছে তেমন কোন প্রভাব ফেলত না। তবে বছরের শুরুতে অনেক অনেক চিন্তাভাবনা নিয়ে শুরু করতাম, কিন্তু বছেরে শেষে এসে তার খুব কমই মিলিয়ে দেখা হত।
বর্তমানে বছরের শেষ দিন থেকে শুরু করে বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত খুবই উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় তরুন তরুনীর মধ্যে। কিন্তু তার পর শূন্যতা। কত রকমের শুভকাঙ্খা থাকতে পারে তারই যেন প্রতিযোগীতা; মোবাইলের এসএমএস বহর, ফেসবুক নামক সমাজে পোস্টের পর পোস্ট আর তার সাথে রকমারী কমেন্টস। তারপর বছর শেষ। বছরের বাকী ৩৬৩ দিন আর কোন খবর রাখিনা আমরা; খবর রাখিনা একবারের জন্য আসা বছরটিকে আমরা কতটা ভালো রেখেছি। সরকার আর বিরোধী দল নামে প্রতিটি দিনকে স্মরনীয় করে রাখবার মেকী প্রতিযোগীতায়, আর তথা কথিত যুবারা নামে যুবতীকে কটাক্ষ করার ভুমিকায়। বছর প্রতিবছরই নিরাশ হয় আমাদের কাছে। আর কতদিন নিরাশ রাখব আর। আমরা কেন শুধু ওর কাছ থেকে ভালো ভালো চাইব কিন্তু নিজেরা ভালো কিছু করব না।
বর্তমানে বছরের শেষ দিন থেকে শুরু করে বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত খুবই উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায় তরুন তরুনীর মধ্যে। কিন্তু তার পর শূন্যতা। কত রকমের শুভকাঙ্খা থাকতে পারে তারই যেন প্রতিযোগীতা; মোবাইলের এসএমএস বহর, ফেসবুক নামক সমাজে পোস্টের পর পোস্ট আর তার সাথে রকমারী কমেন্টস। তারপর বছর শেষ। বছরের বাকী ৩৬৩ দিন আর কোন খবর রাখিনা আমরা; খবর রাখিনা একবারের জন্য আসা বছরটিকে আমরা কতটা ভালো রেখেছি। সরকার আর বিরোধী দল নামে প্রতিটি দিনকে স্মরনীয় করে রাখবার মেকী প্রতিযোগীতায়, আর তথা কথিত যুবারা নামে যুবতীকে কটাক্ষ করার ভুমিকায়। বছর প্রতিবছরই নিরাশ হয় আমাদের কাছে। আর কতদিন নিরাশ রাখব আর। আমরা কেন শুধু ওর কাছ থেকে ভালো ভালো চাইব কিন্তু নিজেরা ভালো কিছু করব না।
Saturday, February 27, 2010
কেন নিয়মিত হব? কিস্যু হবে না!
হায়রে বাংলাদেশ!! আর কী বা বাকী থাকে, যে দেশে অনিয়মিত হবার জন্য, নিয়মিত ব্যক্তির থেকে বেশী পুরস্কার পাওয়া যায়; সেখানে মানুষেরা কেনই বা নিয়মিত হবে বা হবার চেষ্ঠা করবে। অনেক কিছুর মধ্যে টার একটি ছোট্ট ও দৃশ্যমান সত্য উদাহরণ হল এদেশের মোবাইল ফোন অপারেটর গুলো। যে ব্যবহারকারীরা নিয়মিত ফোন ব্যবহার করে সংযোগ ও য়ন্ত্রসামগ্রীর সুষ্ঠ ব্যবহার করছে, অপারেটর গুলো তাদের জন্য তেমন কোন সুযোগ সুবিধার কথা ন ভেবে নিত্যনতুন উপহার ঢালী সাজিয়ে বরনের অপেক্ষায় অাছে গুটিকয়েক অনিয়মিত ব্যবহারকারীর।
এ গল্পের সারমর্ম থাকে অমার মত অজ্ঞ ও সরল মানুষেরা বেশি কিছু শিখবেনা, শিখবে একটি ছোট্ট কথা। পৃথিবীতে কোন কাজে নিয়মিত হয়ে লাভ নেই, অনিয়মিত হলেই নিত্যনতুন সম্ভাবনা।
যথারিতী জাগ্রত তরুন সম্প্রদায় সেটি বুঝতে পেরে অনিয়মিত হবারই চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি জানি অপারেটরাও কোন একদিন তাদের ব্যবসায় ব্যবস্থানা বিদ্যা ভুল প্রমানিত হলে বুঝবে, আসল লক্ষী কারা।
দেশের প্রতি একটা অনুরোধ করব, অনুগ্রহ করে আইন করে হলেও অনিযমিত ব্যক্তিকে পুরস্কার প্রদানের বিজ্ঞাপন গুলো অন্তত রোধ করুন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার না দিলেও, নিদেনপক্ষে খারাপ কাজের জন্য অন্তত না দেওয়ায় উত্তম।
এ গল্পের সারমর্ম থাকে অমার মত অজ্ঞ ও সরল মানুষেরা বেশি কিছু শিখবেনা, শিখবে একটি ছোট্ট কথা। পৃথিবীতে কোন কাজে নিয়মিত হয়ে লাভ নেই, অনিয়মিত হলেই নিত্যনতুন সম্ভাবনা।
যথারিতী জাগ্রত তরুন সম্প্রদায় সেটি বুঝতে পেরে অনিয়মিত হবারই চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি জানি অপারেটরাও কোন একদিন তাদের ব্যবসায় ব্যবস্থানা বিদ্যা ভুল প্রমানিত হলে বুঝবে, আসল লক্ষী কারা।
দেশের প্রতি একটা অনুরোধ করব, অনুগ্রহ করে আইন করে হলেও অনিযমিত ব্যক্তিকে পুরস্কার প্রদানের বিজ্ঞাপন গুলো অন্তত রোধ করুন। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার না দিলেও, নিদেনপক্ষে খারাপ কাজের জন্য অন্তত না দেওয়ায় উত্তম।
Subscribe to:
Posts (Atom)